তারিক হোসেনঃ চারঘাট ( রাজশাহী ) প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৩নং সারদা ইউনিয়ন, ঝিকরা এলাকায় অবস্থিত স্বদেশ কৃষি খামার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আঞ্চলিক, রাজশাহী) এর প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম (পিএইচডি),
গত ২৬ আগস্ট বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে স্বদেশ কৃষি খামার এর ধান চাষের প্রজেক্ট-১ এর ফসলি জমি পরিদর্শন করেন,
পরিদর্শনকালে আমিনুল বলেন,
করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ড থেমে নেই। এরই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন কৌশল/প্রযুক্তি নিয়ে প্রশিক্ষণ ও মাঠ পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদর্শনা অনুযায়ী ১ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না সেই আলোকে কাজে লাগিয়ে স্বদেশ কৃষি খামার যেই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি,
আমিনুল আরো বলেন, আমার জানা মতে চলমান আমন চাষে তাদের কোন ধরনের সার বা বীজ প্রদান করা হয়নি, তবে কার্যক্রম চলমান রাখলে পরবর্তী বোরো মৌসুমে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সহ সার, কীটনাশক, বিজ ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি,
চারঘাট ঝিকরা স্বদেশ কৃষি খামারের প্রধান নিবার্হী মোঃ মোতালেব খান, বলেন গণমাধ্যম এর বিভিন্ন তথ্য মতে ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৬০ কোটি বাড়তে পারে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ১৬ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার ৩ কোটি ৩০ লাখ দরিদ্র এবং এর ভিতরে ১ কোটি ৭০ লাখ অতিদরিদ্র। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, করোনার পরবর্তী দিনগুলোতে বিশ্বমন্দার ভয়াল থাবার পাশাপাশি হানা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দুর করার লক্ষ্যটি পুরণ করতে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের। এই যখন সার্বিক প্রেক্ষাপট তখন কৃষি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আমাদের। তিনি আরও বলেন আমাদের যদি কৃষি ঋণ সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে আমরা স্বদেশ কৃষি-খামারের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও বেগবান করতে পারবো।