মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার শেষ সীমানায় অবস্থিত সেলিমপুর গ্রাম। করোনা মহামারি, বন্যার ক্ষতি শেষ হতে না হতেই পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের এ গ্রামের কয়েকশত পরিবার। গত দুই সপ্তাহে নদী ভাঙ্গনে এ গ্রামের প্রায় ২৫০- ৩০০ বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। কয়েকশত পরিবার গ্রাম ছেড়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। পাশের জয়পুর গ্রামে নতুন করে বাড়ি করতে শুরু করেছে কয়েকশত পরিবার। নিজেদের বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে জানিয়ে সেলিমপুর গ্রামের জুলহাস প্রামানিক, সামাদ প্রামানিক, জামাল বেপারি ও কুটি বেপারি জানান, সেলিমপুর গ্রামের মানুষের বিপদের শেষ নেই।
লেছড়াগঞ্জ ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য সালাম বেপারি জানান, তার ওয়ার্ডের সেলিমপুর গ্রামের ২৫০-৩০০ পরিবারের বসত ভিটা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। করোনা মহামারী, বন্যায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ তারা। এর মধ্যে পদ্মার ভাঙ্গন।
লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরবমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনা জানান, গত ১৫ দিন ধরে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে সেলিমপুর গ্রাম প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। এ গ্রামের মানুষ পাশের গ্রাম জয়পুরের দিকে যাচ্ছে।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, পদ্মা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে ৪০০ মিটার জিও ব্যাগ ফেলতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন জানান, ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি চিঠি পেয়েছি। চরের ভাঙ্গন ঠেকাতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।