যে জেলায় এরকম একজন- সৎ- সাহসী- ভরসাহীন- আদর্শবান- নীতিবান- আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল- ও জনগণের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মত একজন পুলিশ কমিশনার। সে আমাদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন স্যারের মতো একজন কমিশনার থাকে। সে জেলায় কখনো ওসি প্রদীপদের মত কোন অফিসার থাকে না।
কারণ আমার কাছে তার একটাই প্রমাণ, আমার জানা মতো ও দেখা মত এবং সকলের কাছ থেকে উনার সফলতার কথা শুনে আমি মনে করি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি একমাত্র আমাদের গাজীপুরে- ওসি প্রদীপ দের মত কোন অফিসার নেই।
পুলিশই জনতা- জনতাই পুলিশ। কথাটির প্রবর্তক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। এর পূর্ণ সত্যতা পাওয়া যায় বৃহত্তর গাজীপুরে। এখানে সত্যিই পুলিশ আতংক নয় হয়ে উঠেছে জনগণের বন্ধু। আর এই কাজটি সম্ভব হয়েছে একমাত্র-গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন” বিপি এম (বার) পি পি এম (বার) মহোদয়ের জন্য। গাজীপুর বাসি আপনার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ রইলো স্যার।
আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আপনার সাহসী ভুমিকার কথা আজ শুধু গাজীপুর নয় সারাদেশে প্রসংশিত। তাই এর কথা নাই বা বল্লাম। মানবিক এক অনন্য উচ্চতার মানুষের কথা বলি।
উনার ব্যক্তিগত কিছু সফলতার কথা…..
গত এপ্রিল মাসে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে বাচ্চা বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল বাচ্চাটির মা। স্যার সংবাদটি জানতে পেরে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়েছিলেন। শুধু এখানেই স্যার দায়িত্ব শেষ করেননি, এক মাস পর বাচ্চাটির বাবা এসে যখন স্যারকে জানালেন অর্থের অভাবে গত এক মাস যাবত বাচ্চার জন্য বাকিতে দুধ কিনেছে ।
বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আজ থেকে দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, সাথে সাথে সহকারী পুলিশ কমিশনার কোনাবাড়ী জোন কে পাঠিয়ে, দুধ কেনার বকেয়া অর্থসহ আরো আগামী দুই মাসের দুধ কেনার মত প্রয়োজনীয় অর্থ বাচ্চার মার নিকট দিয়ে আসেন। ছোট্ট শিশুটির আগামী ভবিষ্যৎ সুন্দর হউক এই কামনায় দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে।
ছুটে গেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চল ধীরাশ্রম বাজারের অসহায় বিপুলা রানী (৪০), মিষ্টির দোকানের সাধারণ কর্মচারী স্বামী- মৃত নির্মল দাশের ১৪ বছরের অন্তসত্বা মেয়ে বিপুলার অধিকার রক্ষায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনগণকে সচেতন করতে করোনা কালে বিতরণ করেছেন মাক্স।
দিন নেই, রাত নেই মানুষের সেবায় সারাক্ষণই ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। মানুষের জন্য অকাতরে কাজ করে যাচ্ছেন গাজীপুরের এই মহান পুলিশ কমিশনার।
নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শেষ করে ঘরে ফেরেন না, ছুটে যান মানুষের কাছে। করোনা সংকটে অসহায়দের কার কি সমস্যা, খুঁজে বের করেন, তারপর নিজের সাধ্যমত সহয়তা করেন। আর এজন্য ‘মানবিক’ পুলিশ হিসেবে ইতোমধ্যে সবার কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।
গাজীপুরে যোগদানের পর থেকেই সুনামের সাথে চাকুরী করে মানুষের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করছেন।
তাই আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আপনাকে স্যালুট জানাই। সময়ের সংবাদ এর (গাজীপুর প্রতিনিধি) আব্দুল খালেক সুমন।
তিনি বলেন, আমরা বড় বড় দুর্যোগ দেখেছি কিন্তু এমন মহামারি দেখিনি। সারা বিশ্বকে থমকে দিয়েছে এই করোনা ভাইরাস, সংক্রমন এড়াতে।