নওগাঁয় পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক কৃষকের বাগানের ৩৬৫টি কলাগাছ ও ৪২টি আম গাছ কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ। এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার (৭ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে।
ভীমপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সাদের আলীর ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সফির উদ্দীন (৭৩) জানান, পারিবারিক আয়ের জন্য বাড়ির পার্শ্বের মাঠে আমাদের পৈর্তৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমির মধ্যে ১ বিঘা ৫ কাঠা জমিতে কলা ও আম বাগান গড়ে তুলি। বাগানের আম গাছ গুলোতে চলতি মৌসুমে আমও ধরেছিলো এবং কলাগাছে কলার মুচি এসেছিলো।
কিন্তু জায়গাঁ-জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে একই গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দীনের ছেলে আলতাব হোসেন (৫২), মাজেদ আলী (৫০), মমতাজ আলী (৪৮), তোফাজ্জল (৪৫) ও রশিদ (৪৩) ও মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে খাইরুল (৩২) ও জোবায়েদ ইসলাম (২৭) দুটি শ্যালো চ্যালিত বড় ভুটভুটি যোগে অজ্ঞাত আরো ৭০/৭৫ জন ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী এনে গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত প্রায় ২ টার দিকে সন্ত্রাসী কায়দায় বাগানে প্রবেশ করে বাগানের ৩৬৫টি কলাগাছ ও ৪২টি আমের গাছ কেটে সাথে আনা ভুটভুটি যোগে নিয়ে যায় এবং একই সময় আমার মরিচের ক্ষেতের গাছগুলোও উপড়ে ফেলে বলেই বৃদ্ধ কৃষক সফির উদ্দীন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বৃদ্ধ কৃষক সফির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম নূর জানান, আসলে প্রতিপক্ষ লোকজনরা সবাই দেশীয় অস্ত্র সহ বাগানে এসে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে পথে বসিয়েছেন। তাদের সবার হাতেই অস্ত্র থাকার কারণে আমরা বাঁধা দিতে পারিনি তবে এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
বাগানের কলাগাছ ও আম গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত পক্ষের জোবায়েদ হোসেন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে এজন্য আমাদেরকে ফাঁসাতেই প্রতিপক্ষ নিজেরাই তাদের গাছ কেটে আমাদের উপর দোষারোপ করছে।
বাগানের কলাগাছ ও আম গাছ কেটে ফেলার সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই ফরিদ বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, মামলা করলে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।