ডেস্ক নিউজ:
সাংবাদিকতার মত সাহসী পেশা পৃথিবীতে আর কোনো পেশা আছে কিনা জানিনা। কিন্তু এই সাহসীকতা এখন নেহাত চামচামীতে পরিণত হয়েছে! প্রতিটি এলাকার সংবাদকর্মীরা প্রত্যেক এলাকার কোন একটা সিন্ডিকেট বা এলিট শ্রেণির হাতে বন্দি! এছাড়া জীবনেও সাংবাদিকতা করেনি বা দু’লাইন লিখতে পারবে না এমন লোকও প্রেসক্লাবের সদস্যসহ বিভিন্ন পদপদবী নিয়ে বসে আছে! আর প্রকৃত সংবাদকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে সমাজের এক প্রকার ব্যক্তিদের স্বার্থের বলি হচ্ছে!
সম্প্রতি সাংবাদিকতার আড়ালে অতিরিক্ত তৈলমর্দন, পদলেহনকারী কথিত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। পেশাদারিত্বের চেয়ে স্বজাতিকে নির্যাতন, নিপীড়নে উস্কানিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
নামকরা অনেক সাংবাদিক এখন অপসাংবাদিকতায় মেতে উঠেছেন। আবার দেখা যায়, অপসাংবাদিকরা সাংবাদিকতা করার মুখোশ পরে এই পেশার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। আসলে একটি দেশের সাংবাদিকতার গুণগত মান কতটুকু বা সাংবাদিকদের কার্যকলাপ সন্তোষজনক কিনা, তা বুঝতে হলে ওই দেশের পাঠক বা দর্শকদের মতামতের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। একটা সময় ছিল যখন সাংবাদিকদের থেকে মানুষ অনেক কিছু প্রত্যাশা করতো এবং এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত মানুষদের সম্মানের সহিত বিবেচনা করতো। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে, সাথে বদলেছে সাংবাদিকদের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। অন্য অনেক পেশার মতো সাংবাদিকতাও বিভিন্ন কারণে বিভিন্নভাবে কলুষিত হয়েছে। আগের মতো আস্থা পাঠকদের আর নেইও।
সাংবাদিকদের প্রধান কাজ হলো, পাঠকদের/দর্শকদের সঠিক তথ্য দিয়ে ওই নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা। এটা না হলে তাকে হলুদ সাংবাদিকতা বলে। সাংবাদিকতার ধরন হওয়া উচিত বস্তুনিষ্ঠ বা ব্যক্তিনিরপেক্ষ। কিন্তু এখনকার সাংবাদিকতার অন্যতম লক্ষ্যণীয় উপাদান হলো, ব্যক্তিস্বার্থ। আর বস্তুনিষ্ঠতা এবং সাংবাদিকতার মধ্যে দূরত্ব এখন অনেক।