নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে রাতভর রাজশাহীতে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম বাগানের। বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮১ মিলিমিটার।দমকা হাওয়ায় এখানকার প্রায় ১৫ ভাগ আম ঝরে পড়েছে।
বোরো ধানেরও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজশাহীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। নগরী জুড়ে সারা রাতই বিদ্যুৎ ছিল না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আম্পানের মূল কেন্দ্র রাজশাহীতে আঘাত করেনি। তবে বুধবার সারা রাতই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। রাত ২টা ৫৫ মিনিট থেকে ২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার। এই ঝড়ে রাজশাহীতে কৃষি বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল হক বলেন, রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েছি। সকালে আমরা বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে দেখছি।প্রায় ১৫ ভাগ আম ঝরে পড়েছে।
এবছর রাজশাহীতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১০ হাজার মে.টন। সে অনুযায়ী প্রায় ৩১ হাজার ৫শ মে.টন আম ঝরে পড়েছে। এরই মধ্যে আম পাকতে শুরু করেছে। এ কারণে আর্থিকভাবে আম চাষিরা বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ঝড়ে রাজশাহীর অন্য কোনো ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। মাঠে পাকা ধান আছে। সেগুলো মাটিতে শুয়ে গেছে। তবে ধান পেকে যাওয়ায় চাষিরা তা এখন কেটে নেবেন। তাই ধানের ক্ষতি হবে না। তবে কিছু ধান ঝরে যেতে পারে। মাঠের সবজির কোনো ক্ষতি হবে না।