ডেস্ক নিউজ:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। জেলাসহ সকল উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এসব কন্ট্রোল রুম থেকে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের প্রতি মুহূর্তে করণীয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে (বেলা সাড়ে ১২টায়) ৭২৫ কি.মি. দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকলেও আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
তবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপকূলীয় এ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি। বাতাসেরও তেমন চাপ নেই। তবে এক ধরনের গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। স্বভাবিক উচ্চতায় নদীতে জোয়ার হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
জেলাসহ সকল উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এসব কন্ট্রোল রুম থেকে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিদের প্রতি মুহূর্তে করণীয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
জেলায় ৩৯২টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন, আবাসিক হোটেলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিসকে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতিসহ সতর্কতাবস্থায় রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের শুকনো খাবার ও ওষুধ মজুদ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য জেলা ত্রাণ তহবিলে নগদ ২০ লাখ টাকা, ৯ লাখ টাকার শিশু খাদ্য এবং সাড়ে পাঁচ’শ টন চাল মজুদ রয়েছে।
অপরদিকে জেলার কলাপাড়া উপজেলার লালুয়ায় সিডরে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কমপক্ষে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
একই শঙ্কায় রয়েছে কুয়াকাটা, লতাচাপলী, ধুলাসরের অন্তত পঞ্চাশ হাজার মানুষ। এসব উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব বেড়িবাঁধসহ স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় এসব বাঁধ ও স্লুইসগেট অরক্ষিত হয়ে রয়েছে। ফলে অস্বাভাবিক জোয়ারের হানা দেয়ার শঙ্কায় রয়েছে এসব জনপদের মানুষ।
কুয়কাটা-আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লতাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকাররত অধিকাংশ ট্রলার প্রোতাশ্রয় শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। এখনো যারা ফিরে আসেনি তাদের ফিরে আসার জন্য যোগাযোগ করা বলা হচ্ছে।
কলাপাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মধ্যরাত থেকে শেষ রাত নাগাদ প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চার করে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।