গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
উপজেলার পৌর শহরের তাড়াশ বাজার এলাকায় গণশৌচাগার না থাকায় ব্যবসায়ি ও আগন্তক লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটি তাড়াশ পৌর শহরের অন্যতম সমস্যা বলে মনে করছেন সবাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারের বিভিন্ন ভবনের চিপায়, দেয়ালে ও রাস্তার আশপাশে মলমূত্র ত্যাগ করছেন অনেকে। মলমূত্রের গন্ধে পথচারিরা নাকে মুখে রুমাল চেপে হাঁটছেন। যত্রতত্র এসব করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ।
ব্যবসায়ি শিহাব উদ্দিন, ফারুক হাসান, শুকুর মির্জা, সবুজ হোসেন, গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, সকাল থেকে রাত অবদি তাদের দোকানেই থাকতে হয়। শৌচাগার না থাকায় তারা বেশিরভাগ সময় প্রসাব-পায়খান আটকে রাখেন। অকুলান হয়ে পড়লে তখনই কেবল দোকান থেকে বের হন।
তারা আরো বলেন, উপজেলার ২৪৮টি গ্রামের বহু সংখ্যাক মানুষ কেনা-কাটা, চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ নানাবিধ প্রয়োজনে প্রতিদিন তাড়াশ পৌর শহরে আসেন। শহরেই অনেকের সকাল গড়িয়ে সন্ধা নামে। এই সময়ের মধ্যে কারো কারো একাধিকবার মলমূত্র ত্যাগ করতে হয়। নিরুপায় হয়ে তারা যেখানে-সেখানেই বসে পড়েন।
লাকি পারভিন, জিতু আকতার, ফারজানা ফেন্সী, আলেয়া খাতুন জানান, নারীদের জন্য শৌচাগার সমস্যা আরো বেশি। নিরুপায় হয়ে তারা বাড়ি থেকে শহরে আসার সময় পরিমাণের তুলনায় পানি কম খেয়ে আসেন।
এদিকে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা জামাল মিয়া বলেন, প্রসাব-পায়খান আটকে রাখা ও প্রয়োজনের তুলনায় পানি কম খাওয়া মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এভাবে শরীরে জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও পৌর প্রশাসক মো. ওবায়দুল্লাহ সময়ের সংবাদকে বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিগগিরই পৌর শহরের তাড়াশ বাজারে সৌচাগার নির্মান করা করা হবে।