গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
দেশের মিঠা পানির সবচেয়ে বড় জলাভূমি চলনবিল। ইতোমধ্যে বড়াল ও গুমানি নদীপথে প্রবেশ করে বিলের পানিতে টাকি, বোয়াল, টেংরা, পুঁটি, পাঁতাসি, রায়েক, চেলা, মোয়া, চাটা খইলসা, বাড়ি খইলসা, নন্দই, বাইলা, আইড়, গুজা, কাতলা, রুই, জিয়াল, মাগুড়সহ হরেক মাছ প্রজনন শুরু করেছে। বিলের মুক্ত জলাশয় ও খাল-নালায় ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মাছগুলো। শ্রাবণ মাস পর্যন্ত নিধনকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেলে দ্রুত বেড়ে উঠে চলনবিলের পানি মাছে ভরে উঠবে।
জানা গেছে, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়া এবং পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় চলনবিলে মা মাছ ও পোনা মাছ রক্ষায় প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ফলে তুলনামূলক অরক্ষিত চলনবিলের তাড়াশ অংশে স্থানীয় মৎস্য শিকারীদের পাশাপাশি ওই সব এলাকার মৎস্য শিকারীরা রাতভর মা মাছ ও পোনা মাছ বাণিজ্যিকভাবে শিকার করছে।
সরকারিভাবে মা মাছ ও পোনা নিধন নিষেধ থাকলেও নিষিদ্ধ বাদাই, কারেন্ট জাল দিয়ে বিলের পানি থেকে মাছগুলো ছেঁকে তুলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন ডিমে পেটভরপুর ও পোনা মাছগুলো তাড়াশের বৃহত্তর মহিষলুটি মৎস্য আড়তসহ বিল পাড়ের হাটে-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে সব ধরনের নিষিদ্ধ জাল দেদারছে বিক্রি চলছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মা মাছ ও পোনা নিধন বন্ধে চলনবিলের তাড়াশ অংশে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।