গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের সংবাদ:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ মহিষলুটি মৎস্য আড়তে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে রবিবার সকালে বিক্ষোভ করেছেন পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটা বাদ রেখে ডালি মাথায় মহাসড়কের পাশে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারও পাইকার। কেনা-বেচা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন মৎস্য বিক্রেতারা।
মৎস্য ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, রাশিদুল হক, শাহালম হোসেন, নাছির উদ্দিন, আলাউদ্দিন, সাদ্দামসহ অনেকে জানান, কেনাকাটার অন্যতম স্থান মহিষলুটি মৎস্য আড়তে প্রতিদিন সারা দেশের প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার ছোট-বড় পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী কেনাকাটা করে থাকেন। লেনদেন হয় দের থেকে ২ কোটি টাকার মত। সরকারি হাট-বাজারের টোল রেইট অনুযায়ী প্রতিমন মাছ (দুই ডালিতে) পনের টাকা খাজনা আদায় করার কথা। অথচ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত খাজনা আদায় করছেন ইজারাদার। এছাড়া শুধুমাত্র ক্রেতাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের বিধান থাকলেও বিক্রেতাদের কাছ থেকেও আদায় করা হচ্ছে। যা চাঁদাবাজির শামিল।
এদিকে হঠাৎ করে পাইকাররা মাছ কেনাকাটা বাদ রেখে বিক্ষোভ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েন চলবিলাঞ্চলের মৎস্য বিক্রেতারা। অপেক্ষার পর অনেকে মাছ নিয়ে পার্শ¦বর্তী সিরাজগঞ্জ ড়োড মৎস্য আড়তে মাছ বিক্রি করতে যান। কেউবা আঞ্চলিক হাট-বাজারে ঢুকে পড়েন।
মৎস্য বিক্রেতা নাজমুল হক, রহিচ উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, এশারত আলী, জাহাঙ্গির আলম, কামাল হোসেন, আব্দুল আলিম জানান, পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ যৌতিক। তবে কোন ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা না দিয়ে মাছ কেনাকাটা বাদ রাখায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
মহিষলুটি মৎস্য আড়তের ইজারাদার মো. গফুর মন্ডল অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীরা ১টি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ ডালি অথবা ১০ থেকে ১৫ ড্রাম মাছ কিনে পরিবহন করে থাকেন। সব মিলিয়ে গাড়ি প্রতি ৫ থেকে ৬শ টাকা খাজনা আদায় করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব জিতু জানান, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।