নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বগুড়া শেরপুরে শারদীয় উৎসব কে ঘিরে বিজয়া দশমীর দিনে বিজয়া মেলা কে অনেকেই সম্প্রীতি মেলা হিসেবে মনে করে থাকেন। এ বছরও এই মেলা আয়োজন ছিল।
শেরপুর পৌরশহরের সান্যাল বাড়ি মাঠে এই মেলা আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই শেরপুরে বিজয়া দশমীর এই দিনে এই মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। বিগত সময়ে ছিল শহরের বারদুয়ারী হাটের মধ্যে।
শহরের ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, বগুড়ার শেরপুরে ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সম্প্রীতির বন্ধন দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই বন্ধন চলে আসছে। সকল ধর্মের উৎসবকে ঘিরে আনন্দের ভাগাভাগি থাকে হিন্দু-মুসলিম সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন এর মধ্যে। এবারেও এর কোন ব্যতিক্রম ছিল না।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) শহরের সান্যাল বাড়ির মাঠে এই বিজয়ের মেলায় গেলে দেখা যায়, হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ মেলায় কেনাকাটা করছেন। তাদের মধ্যে রোকসানা খাতুন একজন। তিনি বলেন বিজয় দশমীর এই মেলায় রকমারি খাবার উঠে এই মেলাতে। খাবার গুলো খুব সুস্বাদু এই কারণেই তিনি প্রতি বছর এই বিজয়ের এই মেলায় এসে কেনাকাটা করেন।
মেলায় দেখা হয় শামসুল হকের সাথে। তিনি বলেন তার বাড়িতে ছোট্ট দুই নাতি আছে। নাতির জন্যে মাটির তৈরি খেলনা কিনছেন। বিগত সময়ে তার ছেলের জন্য তিনি এই মেলা থেকে মাটির তৈরি খেলনা কিনেছিলেন। খেলনা গুলো অনেক সুন্দর।
মেলায় দেখা হয় মাহবুবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের এই শারদীয় উৎসবে তারাও আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। মেলায় আসেন কেনাকাটা করেন মেলায় ঘুরেন এবং চলে আসছে তার জীবনে অন্তত ৩৫ বছর ধরে।
শারদীয় উৎসবের এই বিজয় দশমীর মেলাকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১৫ জন বলেন, এই শেরপুরে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়কালে ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে একটি সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে এবারও তার কোনো কমতি ছিল না।
কথা হয় শেরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডুর সাথে। তিনি বলেন করানা ভাইরাসের কারণে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শেরপুরে আইসিটির মন্ডবে উৎসবের আয়োজন ছিল। উপজেলার প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে ছিল সম্প্রীতির বন্ধন। শহরের সান্যাল বাড়ি মাঠে এবং উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়ন বাজার এলাকায় এমন আরেকটি মেলা বসে। প্রতি বছর উৎসবের এই বিজয় দশমীর দিনে।