সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়কে ঘিরে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের যে মুখোমুখি অবস্থা চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন সীমান্তকে সুরক্ষিত করার কাজটিকে অনেক বেশি কঠিন করে তুলছে মার্কিন আদালত।
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের তল্লাশির ক্ষেত্রে সীমান্তের কর্মকর্তাদের ‘অত্যন্ত সতর্ক’ থাকার তাগিদ দিয়েছেন ট্রাম্প।
সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে টাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়। পরে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবারও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আপিল করা হলে তা-ও খারিজ করে দেয় দেশটির একটি আদালত।
বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের এই দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতায় এবার সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানোর কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, “বিশ্বাস করেতে পারছি না— একজন বিচারক আমাদের দেশকে এভাবে বিপদের ঝুঁকিতে ঠেলে দিতে পারেন। যদি কিছু ঘটে যায় তাহলে তাকে এবং বিচার ব্যবস্থাকে দোষারোপ করতে হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু হয় তাহলে, বিচারকেরা এবং দেশের বিচার ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী থাকবে।”
রোববার আদালত আপিলের ওপরে স্থগিতাদেশ দেওয়ার ফলে, ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সোমালিয়া, সুদান, লিবিয়া ও ইয়েমেনের বৈধ ভিসাধারীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছেন। তবে আদালত আপিল খারিজ করে দিলেও হোয়াইট হাউস এবং আইনজীবীদের আরও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে।