সোহাঈদ খান জিয়া,
চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি।।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬ নং মৈশাদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও হামানকদ্দি গ্রামের কৃতি সন্তান শেখ বজলুর রহমান (বর্তমানে মরহুম) পাকিস্তান আমল হতে শাহতলী বাজারে নিজের সম্পওিতে ব্রিকফিল্ড দিয়ে ইট তৈরি করে ব্যবসা করেছেন।
ঐসময় বই পুস্তকে লেখা ছিলো ইটের জন্য বিখ্যাত শাহতলী বাজার।
তিনি দীর্ঘ দিন যাবত সুনামের সাথে সততার মাঝে ইট তৈরি করে ব্যবসা করেন।
শেখ বজলুর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিন সহোদর ভাই পিতার সম্পওিতে প্রতিষ্ঠিত মেসার্স শাহতলী বি আর এস ম্যানুপ্যাকচারিং নামে ব্রিকফিল্ড ব্যবসা ধরে রাখেন।
এমনকি পিতার প্রতিষ্ঠিত ব্রিকফিল্ডের পাশাপাশি নিজেরাও পৃথক পৃথক ভাবে ব্রিকফিল্ড দিয়ে ইট তৈরি করেন।
এর মধ্যে আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নান প্রতিষ্ঠা করেন সি বি এফ ব্রিকফিল্ড। এছাড়া তিনি মৈশাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণ পদকে ভূষিত হন। এমনকি স্বর্ণ পদক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।
আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রশিদ বি আর এস ও আর বি এম ব্রিকফিল্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।তিনি ২০১০ সালে দীর্ঘ মেয়াদী শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে পুরষ্কার ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন, শাহতলী কামিল মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ও ফাউন্ডার ক্যাটাগরির আজীবন সদস্য, হামানকর্দি পল্লী মঙ্গল উচচ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও দাতা ক্যাটাগরির আজীবন সদস্য, শাহতলী জিলানী চিশতী কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন, চাঁদপুর ক্লাবের, চাঁদপুর রোগী কল্যাণ সমিতি, চাঁদপুর ডায়াবেটিস সমিতি ও চাঁদপুর রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, দক্ষিণ হামানকর্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিতা সভাপতি ও বর্তমানে চাঁদপুর জেলা ইট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া তিনি আরো বিভিন্ন সংগঠন ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।
আর শেখ মনির হোসেন বাবুল, বি আর এস ব্রিকফিল্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি,চাঁদপুর ডায়াবেটিস সমিতি,চাঁদপুর রেডক্রিসেন্টের আজীবন সদস্য , চাঁদপুর সেন্টাল রোটারি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি,চাঁদপুর পৌর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও শাহতলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, তিন সহোদর ভাই পিতার ন্যায় সৎ ও নিষ্ঠার সাথে সুনাম নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তাদের ইটের গুণগত মান অনেক ভালো।
দেশের আনাচে কানাচে তাদের ইটের সুনাম রয়েছে।
এব্যাপারে আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, প্রায় ৫০/৬০ বছর পূর্বে আমার পিতা ও আমাদের খরিদকৃত সম্পওিতে মেসার্স শাহতলী বি আর এস ম্যানুপ্যাকচারিং নামের ব্রিকফিল্ড দিয়ে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি।
পিতার মৃত্যুর পর আমরা তিন ভাই পিতার ব্যবসার পাশাপাশি নিজেরা পৃথক পৃথক ব্রিকফিল্ড দিয়ে পিতার আদর্শকে অনুকরণ করে ব্রিকফিল্ডের ব্যবসা করছি।
আগামী দিন গুলোতে যেনো সুনামের সাথে ব্যবসা করে পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
কেউ যেনো আমাদের ইটের বদনাম বলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছি।
উও সম্পওির মালিকীয় দলিল প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন যাবত খাজনা, খারিজ ও বি এস খতিয়ান প্রাপ্ত হয়ে সীমানা দেওয়াল টেনে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা করছি।
আমার পিতার জীবদ্দশায় ও আমাদে আমলে কখনো কোথায় কারো সম্পওি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও করি না।