বাংলাদেশের এনজিও গুলোর কিস্তি আদায় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া মহা গুণীজন দের কাছে আকুল আবেদন। দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের যে মহান সিদ্ধান্ত! সাধুবাদ জানায়! আপনারা নিশ্চয় জানেন এটা বাংলাদেশ? কোন কিন্তু মার্কা ঘোষনা বা প্রজ্ঞাপন দিয়ে এই দেশে কোন কাজ হয়না। যেমন আপনারা এনজিও গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিস্তি জমা দেয় তাহলে কোন আপত্তি নাই! তাহলে স্বেচ্ছায় কিস্তি দেয়া গ্রাহকদের খুঁজতে মাঠ কর্মীদের সকল গ্রাহকের বাড়ী বাড়ী টাকা আদয়ের জন্য যাওয়াই লাগছে! অফিস খোলা রাখতেই হচ্ছে! কর্মীরা গ্রাহককে বলছে, দেখেন আমরা ৬৭ দিন আপনাদের কাছে কিস্তি নিতে আসেনি, এখন আসছি কেন? অর্ডার আছে বলেইতো টাকা আদায়ে এসেছি, সঙ্গে মাঠ কর্মীদের মৃদু হুংকার, আগামিতে তো আবার ঋণ নিতে হবে, এখন টাকা না দিলে ভবিষ্যতে আর ঋণ পাবেন বলে মনে হয় না! আপনারা কিস্তি দেন, এনজিওর খাতায় গুড বা ভালো সদস্য হয়ে থাকুন? আইন সৃষ্টিকারীরা কিন্তু আপনাকে টাকা দেবেনা, আমাদের এনজিও থেকে কিন্তু ঋণ নিয়েই আপনাকে চলতে হবে, অতএব সাবধান! মাননীয় মহারতী আইন সৃষ্টিকারী সুধী গুণীজন আপনাদের কাছে আবেদন, হয় এনজিও গুলোকে সাধারন ছুটি বা লকডাউনের আওতাধীন এনে পুরাপুরি বন্ধ করেন দেন! তাছাড়া, মাঠ কর্মীদের মানুষের বাড়ী যেয়ে টাকা আদায় করে অফিসে এসে তাদের কতটুকু স্বাস্থ্য মেনে চলা সম্ভব হলো! একবার ভেবে দেখেছেন! বাঙালীর অনেক অজুহাত, শুধু শুধু আধা-কাঁচা, আধা- পাঁকা কাঁচকলা দেখানোর দরকার নেই!